এ ব্যাপারে আমরা ভয়ংকর উদাশীন, যার ফলে আমাদের নামায সঠিকভাবে আদায় হয় না, এমনকি বাতিলও হতে পারে। কাতার সোজা করা ওয়াজিব।
>>রাসূল(সা:) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের কাতার সোজা করে দাঁড়াও, কেননা কাতার সোজা করা নামাযের পূর্ণতার অংশ।(মুসলিম-৪৩৩)।
>>নুমান ইবনে বাশীর (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল (সা:) লোকজনের দিকে এগিয়ে এলেন এবং মুসল্লিদের দিকে মুখ করে বললেন, তোমরা কাতারগুলো সোজা কর।(এ কথাটি তিনি ৩ বার বললেন) অল্লাহর কসম করে বলছি ! তোমরা অবশ্যই কাতার সোজা করে নাও, নতুবা আল্লাহ তোমাদের অন্তরে বিভেদ সৃষ্টি করে দিবেন।(আবু দাউদ)।
>>ওমর (রা) সালাতে কাতার ঠিক হলো কিনা তা দেখার জন্য একজন লোক নিয়োগ করতেন। কাতার সোজা হয়েছে এ খবর না দেওয়া পর্যন্ত তিনি সালাত শুরু করতেন না।(তিরমিযী)।
পাশের মুসল্লির পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাঁড়ানো
জামায়াতে নামাযের ক্ষেত্রে দুজন মুসল্লির মাঝে ফাকা রাখলে সেখানে শয়তান ঢুকে পড়ে।শয়তান সাথে নিয়ে নামায পড়বেন এ কেমন কথা ! রাসূল(সা:) এভাবে ফাকা রাখতে কঠোর ভাবে নিষেধ করেছেন।
>> আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা:) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের কাতারে পরস্পর মিলে দাড়াও, একে অপরের নিকটবর্তী হও এবং ঘাড়গুলোকে সমানভাবে সোজা রেখে দাঁড়াও। সেই মহান সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ, আমি দেখতে পাই কাতারে কোথাও ফাঁকা থাকলে সেখানে শয়তান ঢুকে পড়ে কালো ভেড়ার বাচ্চার আকৃতিতে।(আবূ দাউদ: ৬৬৬)।
জামায়াতে দাঁড়ানোর সময় সাহাবাগণ একে অপরের পায়ের সাথে পা ও কাধেঁর সাথে কাধঁ মিলিয়ে কাতার সোজা করে মিশে মিশে দাঁড়াতেন।
>> আনাস(রা:) বলেন, আমাদের কেউ কেউ তাঁর পাশের মুসল্লির কাধেঁর সাথে কাধঁ এবং পায়ের সাথে পা মিশিয়ে দাড়াত।(বুখারী: ৭২৫)।