বিতরের সালাতের বিশুদ্ধ নিয়ম
১ম পদ্ধতি: অনান্য সালাতের মতো প্রথমে ২ রাকাআত পড়ে সালাম ফিরিয়ে নেনে। অতঃপর পৃথকভাবে আরেক রাকাআত পড়ে রুকুর আগে বা পরে দুআ কুনূত পড়ে সিজদা শেষে আবার বসে সালাম ফিরাবেন।(মুসলিম: ১২৫২)।
২য় পদ্ধতি: অনান্য নামাযের মতোই ১ম ও ২য় রাকাআত পড়বে। তৃতীয় রাকাআতে কিরাআত পাঠ শেষে রুকুর আগে বা পরে দুআ কুনূত পড়ে সিজদায় চলে যাবে। তবে ২য় রাকাআতের পর তাশাহুদের জন্য না বসে সরাসরি দাড়িয়ে যাবে।শুধু মাত্র তৃতীয় রাকাআতে পর বসে আত্তাহিয়্যাতু, দুরুদ ও দুআ মাছুরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে নেবে।
>> আয়েশা সিদ্দিকি (রা) বলেছেন, রাসূল (সা:) তিন রাকাআত বিতর সালাত আদায় করতেন। এর মাঝে তাশাহুদের জন্য বসতেন না। একাধারে তিন রাকাআতি পড়ে শেষ রাকাআতে বসতেন ও তাশাহুদ পড়তেন। এভাবে ওমর (রা)ও বিতর পড়তেন।(হাকেম: ১১৪০)।
৩য় পদ্ধতি: এ পদ্ধতিটি আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। এ পদ্ধতির হাদীসটি দুর্বল । খ্যাতনামা আলেম ভারতের ছফিউর রহমান মুবারকপুরি, মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পি. এইচ. ডি গবেষক উস্তাদ ফাইহান শালী আল মুতাইরী তারা বলেছেন এ পদ্ধতিতে রাসূল (সা:) বিতর পড়েছেন মর্মে কোনো সহিহ হাদিস পাওয়া যায় না। ইবনুল কায়্যিম ‘যাদুল মাআদে’ প্রচলিত পদ্ধতির আলোচনায় আনেন নি।
তাই আমরা উপরের দুইটি পদ্ধতির যে কোনো একটি গ্রহন করবো, সেটাই আমাদের জন্য উত্তম হবে।
বিতরের সালাত সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন মাসআলা
১. এ সালাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা অর্থ্যাৎ জরুরী সুন্নাত।
২. বিতর সালাত ৩,৫,৭,৯,১১,১৩ এমনকি ১ রাকাআতও পড়া যায়।
৩. দুআ কুনুত পড়া সুন্নাত। রুকুর আগে বা পরে দুআ কুনূত পড়া যায়।
৪. দুআ কুনূত পড়ার শুরুতে তাকবীরে তাহরীমার মতো পুনরায় হাত উঠানোর পক্ষে কোনো হাদীস পাওয়া যায় না। কাজেই এটা করা অনুচিত।
৫. দুআ কুনূত এর সময় হাত তোলা (মুনাজাতের মতো) জায়েয যেহেতু এটি দোয়া। অনেক সাহাবী বুক বরাবর দু হাত তুলতেন।(বায়হাকী)।
৬. ১ম রাকাআতে সূরা আলা। ২য় রাকাআতে সূরা কাফিরুন এবং ৩য় রাকাআতে সূরা এখলাস পড়া সুন্নাত। তবে যে কোনো সূরা পড়া বৈধ।
৭. দুআ কুনূত এক বা একাধিক পড়া যায়। হাদীসে বর্ণিত যত দুআ আছে সেগুলি এমনকি নিজ থেকে বানিয়েও আরবীতে দুআ করা জায়েয।
৮. বিতরের সালাম ফিরানোর পর ‘সুবহানাল মালিকিল কুদ্দূস’ শব্দ করে ৩বার বলা সুন্নাত।
৯. রমযান মাস ছাড়াও বিতর নামায জামায়াতে পড়া জায়েয।
১ম পদ্ধতি: অনান্য সালাতের মতো প্রথমে ২ রাকাআত পড়ে সালাম ফিরিয়ে নেনে। অতঃপর পৃথকভাবে আরেক রাকাআত পড়ে রুকুর আগে বা পরে দুআ কুনূত পড়ে সিজদা শেষে আবার বসে সালাম ফিরাবেন।(মুসলিম: ১২৫২)।
২য় পদ্ধতি: অনান্য নামাযের মতোই ১ম ও ২য় রাকাআত পড়বে। তৃতীয় রাকাআতে কিরাআত পাঠ শেষে রুকুর আগে বা পরে দুআ কুনূত পড়ে সিজদায় চলে যাবে। তবে ২য় রাকাআতের পর তাশাহুদের জন্য না বসে সরাসরি দাড়িয়ে যাবে।শুধু মাত্র তৃতীয় রাকাআতে পর বসে আত্তাহিয়্যাতু, দুরুদ ও দুআ মাছুরা পড়ে সালাম ফিরিয়ে নেবে।
>> আয়েশা সিদ্দিকি (রা) বলেছেন, রাসূল (সা:) তিন রাকাআত বিতর সালাত আদায় করতেন। এর মাঝে তাশাহুদের জন্য বসতেন না। একাধারে তিন রাকাআতি পড়ে শেষ রাকাআতে বসতেন ও তাশাহুদ পড়তেন। এভাবে ওমর (রা)ও বিতর পড়তেন।(হাকেম: ১১৪০)।
৩য় পদ্ধতি: এ পদ্ধতিটি আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। এ পদ্ধতির হাদীসটি দুর্বল । খ্যাতনামা আলেম ভারতের ছফিউর রহমান মুবারকপুরি, মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পি. এইচ. ডি গবেষক উস্তাদ ফাইহান শালী আল মুতাইরী তারা বলেছেন এ পদ্ধতিতে রাসূল (সা:) বিতর পড়েছেন মর্মে কোনো সহিহ হাদিস পাওয়া যায় না। ইবনুল কায়্যিম ‘যাদুল মাআদে’ প্রচলিত পদ্ধতির আলোচনায় আনেন নি।
তাই আমরা উপরের দুইটি পদ্ধতির যে কোনো একটি গ্রহন করবো, সেটাই আমাদের জন্য উত্তম হবে।
বিতরের সালাত সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ন মাসআলা
১. এ সালাত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা অর্থ্যাৎ জরুরী সুন্নাত।
২. বিতর সালাত ৩,৫,৭,৯,১১,১৩ এমনকি ১ রাকাআতও পড়া যায়।
৩. দুআ কুনুত পড়া সুন্নাত। রুকুর আগে বা পরে দুআ কুনূত পড়া যায়।
৪. দুআ কুনূত পড়ার শুরুতে তাকবীরে তাহরীমার মতো পুনরায় হাত উঠানোর পক্ষে কোনো হাদীস পাওয়া যায় না। কাজেই এটা করা অনুচিত।
৫. দুআ কুনূত এর সময় হাত তোলা (মুনাজাতের মতো) জায়েয যেহেতু এটি দোয়া। অনেক সাহাবী বুক বরাবর দু হাত তুলতেন।(বায়হাকী)।
৬. ১ম রাকাআতে সূরা আলা। ২য় রাকাআতে সূরা কাফিরুন এবং ৩য় রাকাআতে সূরা এখলাস পড়া সুন্নাত। তবে যে কোনো সূরা পড়া বৈধ।
৭. দুআ কুনূত এক বা একাধিক পড়া যায়। হাদীসে বর্ণিত যত দুআ আছে সেগুলি এমনকি নিজ থেকে বানিয়েও আরবীতে দুআ করা জায়েয।
৮. বিতরের সালাম ফিরানোর পর ‘সুবহানাল মালিকিল কুদ্দূস’ শব্দ করে ৩বার বলা সুন্নাত।
৯. রমযান মাস ছাড়াও বিতর নামায জামায়াতে পড়া জায়েয।