>> আমরা যখনই মসজিদে যাই, চট করে বসে পড়ি। অথচ সরাসরি এভাবে বসে পড়তে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন। আমাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজনই শুধু “তাহিয়্যাতুল মসজিদ” আদায় করে থাকি। অনেকেই এ সম্পর্কে জানি না, জানার চেষ্টাও করি না, আমল করা তো দূরের কথা।
>> হযরত আবু কাতাদা (রাজিঃ) থেকে বার্ণিত আছে, নবী করীম (সা.) বলেছেন,“তোমাদের মধ্যে যখন কেউ মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন সে যেন ২ রাকায়াত নামায পড়ার পূর্বে না বসে।”(বুখারী হা/৪৪৪ , ১১৬৭ ; মুসলিম হা/ ৭১৪)।
>> এই দুই রাকআত নামায বড় গুরুত্বপূর্ণ। তাই তো জুমআর দিনে খুতবা চলাকালীন সময়েও মসজিদে এলে হাল্কা করে তা পড়ে নিতে হয়।
>> খুতবা শোনা ওয়াজিব হলেও ‘‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ” নামাযের গুরুত্ব দিয়েছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
>> জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন ,নবী করীম (সাঃ) এর খুৎবা দানকালে সেখানে এক ব্যক্তি আগমন করেন । তিনি তাকে বলেন , হে অমুক ! তুমি কি ( তাহিয়াতুল মাসজিদ ) সালাত পড়েছ ? ঐ ব্যক্তি বলেন , না । নবী ( সাঃ ) বলেন , তুমি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় কর । অন্য হাদীসে বলা হয়েছে তুমি সংক্ষিপ্ত ভাবে দুই রাকাআত ( তাহিয়াতুল মাসজিদ ) সালাত আদায় কর ।( বুখারী হা/৮৮৩ , ৮৮৪ ; মুসলিম হা/১৮৯৫)।
>> মসজিদে প্রবেশ করে সুন্নাত পড়তে হলে (যেমন: যোহরের আগের ৪ রাকায়াত সুন্নাত ইত্যাদি) ঐ নামায আর পড়তে হয় না। কারণ, তখন এই সুন্নতই ওর স্থলাভিষিক্ত ও যথেষ্ট হয়। তবে বসতে চাইলে অবশ্যই ২ রাকায়াত পড়ে বসবেন।
>> বিস্তারিত- শেইখ মতিউর রাহমান মাদানীর লেকচার।
২.জামায়াতে নামায পড়া ওয়াজীব বা ফরজ
>> জামায়াতে নামায পড়ার ব্যাপারে আমরা চরমভাবে উদাসীন কিন্তু ভালো করে কোরআন, হাদীস ঘাটলে এর গুরুত্ব কত বেশি তা বোঝা যায়। >> আল্লাহ তা’আলা বলেন: আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয়।(সূরা বাকারা-৪৩)
>> হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: যে ব্যক্তি আজান শুনে ওজর ছাড়া মসজিদে না গিয়ে একাকী নামাজ আদায় করল, তার নামাজ কবুল করা হবে না। লোকেরা বলল, ওজর কী? রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন : ভয় ও রোগ। (আবু দাউদ)
>> বোঝা যায়, নামাজ একাকী নয়, বরং জামায়াতের সাথেই পড়তে হবে।জামায়াতে নামায পড়া ওয়াজীব বা ফরজ।